শিরোনাম

প্রকাশঃ Mon, Aug 12, 2024 4:02 PM
আপডেটঃ Wed, Feb 5, 2025 1:41 PM


জাবি আইন অনুষদের দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষনা

জাবি আইন অনুষদের দুই শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষনা

জাবি প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক তাপস কুমার দাস ও সুপ্রভাত পালকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেছে তার বিভাগের   শিক্ষার্থীরা। সেইসাথে তাদের চাকরী থেকে অব্যহতি না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন তারা। 


সোমবার  (১২ আগস্ট) বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশ এই ঘোষণা দেন তারা। এর আগে দুপুর ১২  টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া চত্বরে জড়ো সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের  সামনে  অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।

 সমাবেশে অংশ নিয়ে ৪৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরশাদুল হক শিক্ষক নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ এনে  বলেন  শিক্ষার্থী বলেন, " আমরা শুনেছি, তাপস কুমার দাস দুর্নীতির মাধ্যমে তার পছন্দের  লোকদের নিয়োগ দিয়ে তার নিজস্ব বলয় তৈরি করেছেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের ছোটভাই সুপ্রভাত পালকে নিয়োগ দিয়েছেন । এরই ধারাবাহিকতায়  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচিত  দুর্নীতির মাধ্যমে  নিয়োগ পাওয়া সুপ্রভাত পালের তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড বনশ্রী রানী কে  ও একই বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী নিয়োগে ও  যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দেন "। 


সমাবেশে অংশ নিয়ে ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিম চৌধুরী বলেন, "বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম এবং ২২ তারিখ আমি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলাম তাপস কুমার দাসের স্যারের সাথে অনেক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন বন্ধ রাখেন এবং ২৩ তারিখ আমার বাবা তার সাথে যোগাযোগ করে কান্না করে অনুনয় করার পরেও তিনি আমাকে কোনো সাহায্য করেনি উল্টো আমার বিরুদ্ধে সাভার থেকে লোকজন এনে হলে হামলা করার মিথ্যা অভিযোগ আানেন। এবং আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালে ও আমার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি। 


এ সময়   ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল রাহী  বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় আমি অন্দোলনে অংশ নেই। ২২ তারিখ পুলিশ গেরুয়াতে আক্রমণ করলে পুলিশের গুলির মুখে আমরা আত্মসমর্পণ করি। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আইনি সুপারিশের সেল গঠন করা হয়। আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস কুমার সেই সেলের সদস্য। তাপস স্যারকে জানানো হলে তিনি  বলেন, আমি নাকি  জামায়ত, শিবির,  হিজবুততাহরীরের লোক,  দুষ্কৃতিকারী। যেখানে অন্য বিভাগের শিক্ষকরা আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিচ্ছেন সেখানে আমার ডিপার্টমেন্টর স্যার এসব বলেন! 


সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পাল শিক্ষার্থীর গায়ে তোলে অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুহার্ত্য দৌলা অনিক বলেন, গত ২৭ জুন আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। আমি  তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে আসি এবং দ্বিতীয় সারির একটি বেঞ্চে বসে পরীক্ষা শুরু করি। তাড়াহুড়োয় আমার ফোনটা রাখতে মনে ছিলো না। পরীক্ষার একদম শেষ পর্যায়ে আমার ফোনটা বেজে উঠলে তিনি বলেন, আমি নকল করছি। আমি নকল করিনি বললে তিনি আমাকে সবার সামনে থাপ্পর মারেন। আমার ফোন নেয়ার দেড়

 মাস পার হলেও এখনো তিনি ফোন ফেরত দেননি।  

 

উল্লেখ্য গতাকাল ,  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের হেনস্থা, তাদেরকে দুষ্কৃতিকারী হিসেবে আাখ্যা দেওয়া,  শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন,  টুপি, বোরকা ও পর্দা করলে তাদের নানা ভাবে হেনস্তা, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাথে বিরুপ আচারন, পরিকল্পিতভাবে রেজাল্ট কমিয়ে দেয়া,  সহ নানা অভিযোগে দুই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 


গতকালকের বেধে দেওয়া ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যহতি নেওয়ার আল্টিমেটাম শেষ হলেও তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। 



www.a2sys.co

আনন্দ উল্লাসে শিক্ষার্থীদের একদিন!

আনন্দ উল্লাসে শিক্ষার্থীদের একদিন!

শিক্ষার্থীদের এ অনুষ্ঠানে সামি.. বিস্তারিত

আরো পড়ুন