শিরোনাম

প্রকাশঃ Fri, Feb 2, 2024 3:29 PM
আপডেটঃ Wed, Feb 5, 2025 11:49 PM


খাবার বিক্রি করে বাংলাদেশে স্কুল চালান জাপানের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা

খাবার বিক্রি করে বাংলাদেশে স্কুল চালান জাপানের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা

জাপানের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা তোশিকো ওনিসি এবং ওকাসহ বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে অবসর জিবনে শিক্ষার আলো বিশ্বব্যাপী ছড়াতে ভ্রমনে বের হোন। প্রথমে তারা আসেন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়।

সেখান থেকে ঘুরতে আসেন কুমিল্লায়। ব্যবসায়িক কারনে আগে থেকেই তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল কুমিল্লার তারিক-উল- ইসলাম মজুমদারের সাথে। জাপানের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা তোশিকো ওনিসি ও তার বন্ধুরা কুমিল্লা শহরে বেড়াতে এসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা কান্দিরপাড়েই অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দেন।

বাসায় এসে স্ত্রী নাহিদা আক্তার মজুমদার তার স্বামী তারিক মজুমদারকে পরামর্শ দেন এভাবে টাকা না বিলিয়ে তারা যদি একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে তাহলে আমাদের দেশের অসহায় ছেলে মেয়েরা বিনা পয়সায় পড়ার সুযোগ পেল।

সেই পরামর্শ এবং জাপানি বন্ধুদের ভাবনা মিলে যাওয়ায় ২০১৬ সালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের সবুজ ঘেরা এলাকা বড় ধর্মপুরে গড়ে তুলেন মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারি স্কুল।




কুমিল্লার ব্যবসায়ি তারিক-উল- ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার মজুমদার ও তাদের ছেলে মেয়ে ছাড়া স্কুলের পরিচালক সকলেই জাপানি।


জাপানি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা তোশিকো ওনিশি অবসরে জাপানের বিভিন্ন স্কুলে খাবার বিক্রি করেন। সেই টাকা এখানে সহায়তা করেন।
বৃহস্পতিবার চার জাপানি বন্ধু আসেন লালমাই পাহাড়ের মজুমদার ওয়ান ড্রপ প্রাইমারি স্কুলে। সেখানে তারা জানান স্কুল প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। জামা,জুতা,বই-খাতা,দুপুরের খাবার স্কুল বহন করে।

তোশিকো ওনিশি বলেন,শিশুদের মুখের হাসি দেখতে সদূর জাপান থেকে এসেছি। আমাদের দেশে তরুণের সংখ্যা কম,এখানের তরুণদের দেখে হিংসে হয়! তাদের মধ্যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা কোন এনজিও নয়,বন্ধুরা নিজেদের আয় থেকে অংশ নিই। বয়স হয়েছে, কতদিন চালাতে পারবো না জানি না। কেউ ইচ্ছে করলে স্কুলের খরচ বহনে অংশ নিতে পারেন।
সংস্কৃতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানের মানুষ অতিথি পরায়ণ। তবে মানুষ সময় অনেক অপচয় করেন। এদিকে তিনি এখানের বিরিয়ানির খুব ভক্ত বলে জানান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কুলের প্রধান ফটকে জাপানি,ইংরেজি ও বাংলায় স্কুলের নাম লেখা। ফটকের ওপরে পতপত করে উড়ছে সবুজের ওপরে লাল বাংলাদেশি ও সাদার ওপরে লাল বৃত্তের জাপানি পতাকা। শিক্ষার্থীদের পরনে সবুজ প্যান্ট ও সাদা জামা। কক্ষের পাশ দিয়ে যেতে শিক্ষার্থীরা সমস্বরে সালাম ও শুভেচ্ছা জানায়। কারো চেয়ার টেবিল লাল ও সবুজ রঙের। কারো গুলো সাদা। ১ম-থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত এখানে পড়ানো হয়। শিক্ষার্থী ১০০জন। বৃহস্পতিবার ১ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেও বরণ ও খেলাধুলার আয়োজন ছিলো। তাদের সাথে জাপানিদের মজা করতে দেখা যায়।

স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল ইয়াসমিন আলী বলেন,এখানের অধিকাংশ শিশুর পরিবারের কেউ স্কুলে যায়নি। কারো মা নেই পরিবারে। কারো বাবা নেই। নানা বা দাদার পরিবারে বড় হচ্ছেন। কেউ কেউ সকালের খাবার খেয়ে স্কুলে আসতে পারেন না। এখানের শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পড়া দেখিয়ে দেয়ারও কেউ নেই। বইয়ের সাথে তাদের জীবন পরিচালানা ও পরিচ্ছন্নতায় আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। হাত পরিষ্কার করা,ওয়াশরুম ব্যবহার ইত্যাদি।

স্কুলের উদ্যোক্তা তারিক-উল-ইসলাম মজুমদার বলেন, শিক্ষা মানে শুধু সার্টিফিকেট অর্জন না।শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ সভ্য হয়ে উঠে। সামাজিকীরন শিখে



www.a2sys.co

আনন্দ উল্লাসে শিক্ষার্থীদের একদিন!

আনন্দ উল্লাসে শিক্ষার্থীদের একদিন!

শিক্ষার্থীদের এ অনুষ্ঠানে সামি.. বিস্তারিত

আরো পড়ুন