শিরোনাম

প্রকাশঃ Thu, Jan 11, 2024 2:41 PM
আপডেটঃ Thu, Nov 21, 2024 11:43 AM


এই দেশকে এগিয়ে নিবে কারা?

এই দেশকে এগিয়ে নিবে কারা?

উপ সম্পাদকীয় 

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি আমরা। যে মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি, সে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে। স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর কিন্তু কম সময় নয়। এই সময়ে পৃথিবীর অনেক দেশ শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, অবকাঠামো, জ্ঞান, বিজ্ঞান আর গবেষণায় অনেক দূরে এগিয়ে গেছে।


আর আমরা কোথায়? যেখানে পাশের দেশ মালদ্বীপ অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে দেখিয়েছে আর আমরা বারবার প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে কলুষিত করেছি।


পাশের বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যখন বিশ্ব র‍্যাংকিং এ জায়গা করে নিচ্ছে তখন আমার দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞান-বিজ্ঞান , গবেষণার পরিবর্তে অসুস্থ রাজনীতি চর্চার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ভারতে প্রাইমারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতার প্রশ্নে কোন আপোষ করে না, আর আমার দেশে রাজনীতির ছত্রছায়ায় অনেক অযোগ্য লোক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হচ্ছেন। পাশের দেশ শ্রীলংকা যেখানে দেউলিয়া হওয়ার পরেও তারা তাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, রিজার্ভ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে আর আমাদের রিজার্ভ মাত্র এক বছরের ব্যবধানে ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমতে কমতে ১৫ বিলিয়নে ঠেকেছে। বর্তমানে আমাদের বৈদেশিক ঋণের বোঝা প্রায় একশো বিলিয়ন।


নিকটবর্তী দেশ আফগানিস্তান যে সময়ের সময়ের ব্যবধানে ডলারের বিনিময় মূল্য পঞ্চাশ টাকা কমিয়েছে সেখানে ডলারের বিপরীতে আমাদের টাকার বিনিময় মূল্য বেড়েছে প্রায় পঞ্চাশ টাকা। কাতার শুধুমাত্র খেলাকে উপলক্ষ্য করে (কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ-২০২২) খরচ করেছে প্রায় দুইশো বিলিয়ন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা)  সেখানে আমরা সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের(প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকার) জন্য আইএমএফের পিছনে দৌঁড়িয়েছি!


জরিপ বলছে- তরুণ প্রজন্মের প্রায় ৪৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী দেশের বাহিরে চলে যেতে চান। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর এতবড় একটা অংশ দেশে থাকতে চান না। তাহলে খুব সহজেই অনুমেয় এই সমাজের ও দেশের মৌলিক জায়গাগুলোতে অসংগতি রয়েছে। যারা আগামী দিনে দেশের ভবিষ্যৎ আমরা তাদের জন্য দেশে আস্থার জায়গা তৈরি করতে পারিনি সুদীর্ঘ বায়ান্ন বছরেও। দেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, আমরা যথাযথ পক্রিয়ায় নিজস্ব প্রযুক্তিতে সেগুলো অনুসন্ধান করতে পারছি না, এইজন্য বিদেশীদের দারস্থ হতে হচ্ছে ফলে খনিজ সম্পদ উত্তোলন পরবর্তী লভ্যাংশের অধিকাংশই তারা নিয়ে যায়।


বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক চর্চা নেই বললেই চলে। প্রতিনিয়ত বড় দুই দলের বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে রাজনীতির মাঠ সবসময় অশান্ত। মানুষের রাজনীতি চর্চার অধিকারে বাধা দেওয়া যেন এক নিয়মিত কালচারে পরিণত হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে সন্তুোষজনক সেবা অনিশ্চিত, এখানেও চরম দুর্নীতি লক্ষ্যণীয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোও যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। অথচ এই খাতে সরকারের বরাদ্দ চোখে পড়ার মতো । দেশের সকল নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরণের স্বাস্থ্যসেবা সহনীয় ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করা সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিলো। উন্নত দেশের স্বাস্থখাতের সাথে আমাদের স্বাস্থখাত  তুলনা করলে দেখা যাবে আমাদের স্বাস্থ্যখাত কতটা ভঙ্গুর। 


একথা সত্য যে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে, এবং হচ্ছে, তার পরিধি ও আকার বেড়েছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো- পরিধি ও মান কি এক বিষয় ? যে টাকার বাজেট হচ্ছে সে অনুযায়ী কতটুকু কাজ হচ্ছে ? শিক্ষার হার বেড়েছে কিন্তু শিক্ষার মান গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। দেশ ও জাতি গঠনে আমাদের ব্যক্তি জীবনে এই শিক্ষার প্রভাব কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি ? সমাজের বাস্তব চেহারা এখন এমন- 'মিথ্যাচার, প্রবঞ্চনা, দুর্নীতি, নৈতিক অবক্ষয়ে মানবিক সংকট আজ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে । দেশের জনসংখ্যা পর্যাপ্ত, সে জনসংখ্যাকে কি জনশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পেরেছি ? তা না হলে এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগ কি? যুদ্ধবিধ্বস্ত জাপান বিধ্বস্ত এক অবস্থান থেকে উঠে এসে চরম দুঃসময় কাটিয়ে আজ পৃথিবীতে উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষুধার কারণে স্বাধীন হওয়া সিঙ্গাপুর আজ বিশ্বে অর্থনীতির রোল মডেল, সবচেয়ে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন দেশ হিসেবে তারা পৃথিবীতে স্বীকৃত। তাদের দেশের শাসক তথা কর্তাব্যক্তিরাই যে শুধুমাত্র তাদের দেশকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে এসেছে বিষয়টা এমন নয়। তাদের জনসাধারণেরা মানসিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তারা পরিবর্তন হবে, সভ্য হবে, উন্নত হবে। সে বিবেচনায় আমরা মানসিকভাবে কতটুকু প্রস্তুত স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে? সরকার আমাদের কল্যাণে কোন আইন প্রবর্তন করলে আমরা দল বেধে সে আইন ভঙ্গ করি। তাহলে এই দুরবস্থা থেকে এই দেশকে বাঁচাবে কারা? এগিয়ে নিবে কারা?


একটি দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা। সময়ের পরিক্রমায় আমরা দেখে আসছি দেশে গণতন্ত্রের বেহাল দশা। স্বাধীনতার সুদীর্ঘ পঞ্চাশ বছর অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও আমরা একটি স্বাধীন শক্তিশালী নির্বাচন ব্যবস্থা দাঁড় করাতে পারিনি। যারাই ক্ষমতায় গিয়েছে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য তারা নিজেদের মর্জিমাফিক নির্বাচন ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছে। ফলে নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হয়ে যায়। রক্তপাতের পরিবেশ তৈরি হয়। বরাবরের মত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে ভূখণ্ড উত্তাল হয়। বিদেশীরা এসে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামায় যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য চূড়ান্ত লজ্জার। এই দায় আমরা কেউ এড়াতে পারিনা। অথচ স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর অন্য সকল দেশের কাছে আমার দেশের -  উন্নয়ন, অর্থনীতি, রাজনীতি, সুশাসন, নির্বাচন সহ সবদিক দিয়ে রোল মডেল হওয়া দরকার ছিলো। প্রত্যাসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই বিরোধী দলের বিপরীতমুখী অনমনীয় অবস্থানের জন্য এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে দেশ। কতটা উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ হওয়ার কথা ছিলো অথচ চতুর্দিকে সুনসান নিরবতা, এক অজানা আতঙ্কে দিনপাত করছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী সহ নিবন্ধিত বহু রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেখাই যাচ্ছে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। প্রতিযোগিতাহীন এই নির্বাচন দেশকে দীর্ঘমেয়াদী সংকটে ফেলবে। চলমান এই সংকট যত গভীর হবে তা নিকট ভবিষ্যতে রাজনীতির সীমানা ছাড়িয়ে অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিদেশী বিনিয়োগ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও পোশাক রপ্তানিতে তীব্র নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। 


রাজনৈতিক দলগুলোর পরষ্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে আমরা আমাদের প্রকৃত শত্রুকে চিনতে ভুলে গেছি। আমাদের শত্রু দুর্নীতি, দারিদ্র, সামাজিক বঞ্চনা, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং যারা এগুলোর মূলে ভূমিকা রাখে। বৃহৎ পুঁজি ও বাজারের সিন্ডিকেট আমাদের শত্রু, ভূরাজনৈতিক কূটচাল আমাদের শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা ও অসৎ নেতৃত্ব আমাদের শত্রু।  এইসব শত্রুদের সমূলোৎপাটন করতে পারলে সত্যিকার অর্থেই এই দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হতো। অথচ আমরা শত্রু মনে করি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে। আমাদের সৃজনশীলতা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে  দমন করায়। এই সৃজনশীলতা ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করে । তাই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্মূলে সদা সর্বদা জাগ্রত থাকি আর এই সুযোগে প্রকৃত শত্রুগুলো আরো শক্তিশালী হচ্ছে দেশের অপার সম্ভবনাগুলোকে ধ্বংস করে ভঙ্গুর করে দিচ্ছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নিবে কারা ?


আমরা আমাদের দেশের মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারছি না, তাই শিক্ষিত তরুণদের বড় একটা অংশ দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে । পড়াশোনা শেষ করে দেশে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়তে না পারার শংকায় তারা দেশ ছাড়ছে। উচ্চ শিক্ষা শেষে মেধাবীদের বড় একটা অংশ আর দেশে ফিরছেন না। তরুণদেরকে আমরা মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারছি না। মেধা অনুসারে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছি না।  ব্যাপকভাবে তরুণদের দেশ ত্যাগের চলমান যে উন্মাদনা দেখছি তা আমাদের জন্য সুখকর নয়। মেধা, মনন ও শ্রমের যথাযোগ্য ব্যবহার করে যারা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছাবেন, দেশ ও জাতিকে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিবেন; তাদের এভাবে দেশত্যাগ জাতির জন্য অশনিসংকেত। অথচ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো তাদের মেধাবীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে এবং তাদেরকে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা প্রদান করে বলেই তারা উন্নত।


প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে অনেকাংশে। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাবে প্রতিনিয়ত কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর একাংশ বিদেশে যায়। কিন্তু পদে পদে তাঁদের ভোগন্তিতে পড়তে হয়। ভারত নেপাল ও শ্রীলংকায় যেখানে ১৫-২০ হাজার টাকায় বিদেশ যেতে পারেন সেখানে আমাদের কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশ যেতে হয়। অনেকে আবার দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হোন। অন্যরা ১৫-২০ টাকায় বিদেশে পাঠাতে পারলে আমরা কেন পারছি না? যারা বিদেশ থেকে ফিরে এসেছেন তাঁদের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকারের দায়িত্ব। অথচ সে দায়িত্বটুকু সরকার বা রাষ্ট্র পালন করছে কি?


মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্থ  স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা হয়েছিলো। নানা চড়াই উৎরাই প্রতিকূলতা মারিয়ে আমরা এগিয়েছি। কিন্তু বৈশ্বিক বিবেচনায় সুদীর্ঘ বায়ান্ন বছরের হিসেবে এই এগিয়ে যাওয়া কতটুকু সন্তুোষজনক? পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস এগুলো আমাদের জন্য আশা জাগানিয়া, বিপরীতে বিশাল ঋণের বোঝা আমাদের কাঁধে। আমরা একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বুনি। এই এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যত ঘাটতি বা প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করতে হবে। মোটা দাগে যদি আমরা মৌলিক ঘাটতি বা প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করি তাহলে প্রথমেই সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের অভাব। অর্থ্যাৎ কর্তাব্যক্তিদের অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও চরম অপরাধ প্রবনতাই এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় । পর্যায়ক্রমে নাগরিক হিসেবে আমারও দেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে ব্যর্থ। দেশের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার বড় অভাব। 


অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সাথে অনেক বেশি সংযুক্ত।  বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে সে সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং বৈশ্বিক মূল্যবোধের সাথে আমাদের সমন্বয় থাকতে হবে। আমাদের কাজ করতে হবে গণতন্ত্রের যথার্থ বাস্তবায়ন নিয়ে, সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে, স্বাস্থ্যসেবার সার্বজীনন মান নিশ্চিত করতে হবে, শিক্ষাব্যবস্থাকে নৈতিক ও কর্মমুখী করতে হবে, কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠিকে শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে, উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে; বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হবে সেক্ষেত্রে কৃষিপণ্য ও রেমিটেন্স যোদ্ধাদের গুরত্ব দিতে হবে, পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা করে নিবে।কেবলমাত্র সরকারই এই সকল সংকট থেকে উত্তরণের জন্য যথেষ্ট নয় বরং আমাদের সবাইকে দল ও মতের উর্ধ্বে উঠে দেশ নির্মানে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো সম্ভবনাময় সুজলা-সুফলা-শস্য শ্যামলা প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে বাঁচাবে কারা? এই দেশকে এগিয়ে নিবে কারা?


লেখক

মুহাম্মদ মেহেদী হাসান

সাবেক সভাপতি

ডিবেট বাংলাদেশ



www.a2sys.co

আরো পড়ুন