শিরোনাম

প্রকাশঃ Mon, Dec 18, 2023 6:52 PM
আপডেটঃ Wed, Nov 20, 2024 7:45 AM


মুরাদনগরে টেন্ডার ছাড়াই জেলা পরিষদের দিঘি বরাদ্দের অভিযোগ

মুরাদনগরে টেন্ডার ছাড়াই জেলা পরিষদের দিঘি বরাদ্দের অভিযোগ

কুমিল্লার মুরাদনগরে জেলা পরিষদের দিঘিতে অবৈধভাবে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। কারণ কোনো রকম বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দিঘিটি তাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য মৌখিক অনুমতি পেয়েছেন দাবি করে এর সাথে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও তারা জানান। অথচ স্থানীয় সরকার আইনে এসব প্রকল্পের পূর্ববর্তী লিজ গ্রহীতার মেয়াদ শেষ হলে নতুন করে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির নিয়ম রয়েছে।



তাছাড়াও লিজ গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুকুর বা দিঘির পাড়ের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকারের কথা থাকলেও,সে নিয়মেরও ব্যত্যয় হয়েছে। 


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ২০১৪ থেকে তিন বছরের চুক্তিতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত উপজেলার পূর্বধৌল পশ্চিম এলাকায় অবস্থিত ৪.০১৯ একরের ’পূর্বধৌল দিঘিটি’তে লিজে মাছ চাষ করেছিলেন একই এলাকার কবির হোসেন। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ জানায়,এটি সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। তাই আপাতত লিজ দেয়া হবে না। কিন্ত সংস্কারে পর চলতি ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে দিঘিটিতে মাছ চাষের প্রস্তুতি নেন স্থানীয় কেশব নাগ এবং বহিরাগত ইউনূস, জাহাঙ্গীর,শাহজালাল,কালন,ভুবন, মোস্তফা,জালাল ও মনিরসহ কয়েকজন। যদিও এর আগে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় এ সংক্রান্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা জানান,৬ লাখ টাকার চুক্তিতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলুর সাথে তাদের কথা হয়েছে এবং তিনিও মাছ চাষের সুফল পাবেন।


স্থানীয় কেশব নাগ বলেন,তিনি দিঘিটির পাড়ের বাসিন্দা হওয়ায় জেলা পরিষদ তাকে এটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


পূর্বধৌল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান- বিষয়টি তিনি শুনেছেন। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে কাউকে দিঘিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কীনা তার জানা নেই বলে জানান।


জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুল আলম দিপু বলেন- দিঘিটি কাউকে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাই টেন্ডার নোটিশ দেয়া হয়নি। তবে নিজ উদ্যোগেই মাছ চাষের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।


মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ শিকদার বলেন- বিষয়টি সম্পর্কে তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।


এ বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেন- কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু।







https://www.akashtv24.com/news/details/469/kamilalaya-nabhemabara-mase-8-khana-mamala-388





www.a2sys.co

আরো পড়ুন